ভাঙছে নদী , ভাঙছে পাড় : বিঘের পর বিঘে জমি নদীগর্ভে

3rd July 2021 9:04 am বাঁকুড়া
ভাঙছে নদী , ভাঙছে পাড় : বিঘের পর বিঘে জমি নদীগর্ভে


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :    বাঁকুড়ার 'শস্য ভাণ্ডার' হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ দামোদর এলাকার সমৃদ্ধশালী ব্লক ইন্দাস। গত কয়েক বছর ধরে এই এলাকার একটি বিশেষ অংশের মানুষের কাছে নদী ভাঙ্গন সমস্যা বড়সড় মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

      রোল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ভাষনা গ্রামের মানুষের দাবি, গত কয়েক বছরে প্রায় পাঁচশো বিঘা কৃষি জমি দামোদরের গর্ভে চলে গেছে। আর এভাবে চলতে থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে প্রায় পুরো গ্রামটাই গিলে খাবে দামোদর। আর এই পিছনে প্রশাসনিক উদাসীনতা ও দিনের পর দিন অবৈধভাবে বালি উত্তোলনকেই দায়ী করছেন ঐ এলাকার মানুষ।

    গ্রামবাসীদের দাবির সত্যতার প্রমাণ মিললো আমাদের ক্যামেরাতেও। একদিকে দামোদর থেকে তোলা বালির স্তুপ। অন্যদিকে জলের তোড়ে ভেঙ্গে পড়ছে নদীর পাড়। কমছে কৃষি জমির পরিমান। ফলে চরম দূরবস্থার মধ্যে ঐ এলাকার কৃষিজীবি মানুষ।

      এবিষয়ে বিষ্ণুপুরের মহকুমাশাসক অনুপ কুমার দত্ত বলেন, নদীভাঙ্গন রোধে রাজ্যের সেচ দপ্তর ইতিমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। রোল গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাষনা গ্রামের বিষয়টি নিয়ে দামোদর রাইট ব্যাঙ্ক ইরিগেশানের তরফে একটি প্রকল্পের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। ঐ প্রকল্পের অনুমোদন মিললেই কাজ শুরু হবে বলে তিনি জানান।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।